জয়পুরহাটে প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসে দুই ছাত্র নিখোঁজ!
মোঃ আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
জয়পুরহাটে কালী মন্দিরের পুরনো কালী প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসে দুই জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। বুধবার দুপুরে (১৯ অক্টোবর) আড়াইটার দিকে ছোট যমুনা নদীর চকশ্যাম ঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজরা হলেন, জয়পুরহাট সদরের স্টেশনরোড এলাকার মৃত বিশ্বজিৎ বাষ্পের ছেলে সনজিত বাষ্প (২৩) ও একই এলাকার পরশ রজকের ছেলে তন্ময় রজক (১৬)। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিখোঁজ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদরের বেল কলোনি কালী মন্দিরের পুরনো কালী প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসেন ৭-৮ জন কিশোর ও যুবক। এসময় ছোট যমুনা নদীর চকশ্যাম ঘাটে কালী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া শেষে তারা নদীতে স্নান করছিল। নদীর গভীরতা বেশি থাকায় সাঁতার না জানায় দুই জন নিখোঁজ হয়ে যায়। এরমধ্যে তন্ময় রজক এসএসসি পরীক্ষার্থী ও সনজিত বাষ্প উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সদস্যরা নদীতে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করলেও এখনো পর্যন্ত উদ্ধার তাদেরকে করা সম্ভব হয় নাই।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঠাকুর বলেন, বেল কলোনি কালী মন্দিরের পুরনো কালী প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসেন ৭-৮ জন কিশোর ও যুবক। এসময় ছোট যমুনা নদীর চকশ্যাম ঘাটে কালী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া শেষে তারা নদীতে স্নান করছিল। নদীর গভীরতা বেশি থাকায় সাঁতার না জানায় দুই জন নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজের তিন ঘন্টা অতিবাহিত হলেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এখনো তাদের উদ্ধার করতে পারে নাই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জয়পুরহাটের মতো জেলায় একজনও ডুবুরি নেই। যার ফলশ্রুতিতে এখনো তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি। যদি আজ একজন ডুবুরি থাকতো তাহলে এতোক্ষণে তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হতো।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক শওকত আলী জানান, আমাদের ডুবুরি দল না থাকার কারনে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল আসলে উদ্ধার কার্যক্রম আরও জোরদার হবে। রাশেদুজ্জামান।জয়পুরহাট।
ছবির ক্যাপশন: নিখোঁজ স্বজনদের আহাজারি। বুধবার বিকেলে জয়পুরহাট সদরের ছোট যমুনা নদীর চকশ্যাম ঘাট থেকে তোলা।